এই ৫ টি খাবারে রয়েছে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালশিয়াম

শরীরের কার্যকারিতায় ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ, আমাদের শরীরের হাড়ের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম অন্যতম উপাদান। অর্থাৎ জন্ম থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমাদের শরীরের বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। যেসব শিশু লম্বা হতে চায় তাদের অবশ্যই ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত।

ক্যালসিয়ামের অভাবে ধীর বৃদ্ধি, ভঙ্গুর হাড়,অস্টিওপরোসিস ইত্যাদি হয়। এছাড়াও, ক্যালসিয়াম শরীরের প্রক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে যা আমরা দেখতে পাই না।

উদাহরণস্বরূপ; পেশী, স্নায়ুতন্ত্র, নির্দিষ্ট হ’রমোনের কাজ, হৃদস্পন্দন। বেশির ভাগ মানুষই ভাবেন যে, তারা যদি উচ্চ পরিমাণে ক্যালসিয়াম পেতে চান তবে তাদের অবশ্যই প্রচুর দুধ পান করতে হবে, যা ভুল নয়।

তবে এমন কিছু খাবার আছে যা আরও বেশি ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ। এই ৫ টি খাবারে রয়েছে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালশিয়াম! চলুন সেগুলো কী কী তা জেনে নেওয়া যাক।

১. পনির : পনির হল দুধের তৈরি প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। পনিরে দুধের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম বেশি। পারমেসান পনিরে ক্যালোরি বেশি থাকলেও দুধের চেয়ে কম ল্যাকটোজ রয়েছে।

শিশুদের খাবার তৈরিতে পারমেসান পনির ব্যবহার করলে তাদের ল্য়াকটোজ ও ক্য়ালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। তবে ওজন বাড়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিমিত পরিমাণে পনির খান।

২. দই : গরুর দুধে যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য বিকল্প হল দই। মিষ্টি ছাড়া প্রাকৃতিক দই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এছাড়া দইয়ে রয়েছে অণুজীব যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, আমরা যখন দুধের সমান পরিমাণে দই খাই, তখন ক্যালসিয়ামও বেশি পাওয়া যায়।

৩. শষ্য বীজ : বেশিরভাগ বীজেই রয়েছে পুষ্টিগুণ। যেমন সাদা তিলের বীজ, চিয়া বীজ এবং বিশেষ করে কালো তিলের বীজ পুষ্টি সমৃদ্ধ। এইগুলোতে গরুর দুধের চেয়ে আট গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য আপনার খাবারে ভাজা কালো তিল ছিটিয়ে দিন। প্রতিদিনের খাবারে শষ্য বীজ রাখলে ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না।

৪. বাদাম : বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম। বিকালের নাস্তায় একমুঠ বাদাম খেতেই পারেন। এতে আপনার পেটও ভরবে আবার পুষ্টিও পাবেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম থাকে। এবং হাড় এবং মস্তিষ্ককে পুষ্ট করে।

৫. কলাইশুটি : মটরশুটি ছাড়াও যে বীজগুলো খাওয়া হয় যেমন কালো মটরশুটি, সাদা মটরশুটি, লাল মটরশুটি, শিমবীজ ইত্যাদি পুষ্টি সমৃদ্ধ। এগুলিতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ, বিশেষত ক্যালসিয়াম প্রচুর। সূত্র : দ্য ট্র্যাভেল ব্রীজ